সারাদেশের মতো রাজবাড়ীতেও বেড়েছে ডায়রিয়ায় প্রকোপ। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপও। জেলা সদর হাসপাতালেও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে, সোমবার থেকে এই হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে বেড না থাকায় তাই অনেক রোগী ওয়ার্ডের ফ্লোর, বাইরের গাছতলায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজবাড়ী আধুনিকৃত সদর হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালারের বারান্দার মেঝেতে দেখা যায় স্যালাইন হাতে একটি পাটি বিছিয়ে শুয়ে আছেন শিল্পী (৩৮) নামে এক নারী ।
তিনি বলেন, ‘আমি সোমবার রাত থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। পরে হাসপাতালে এসে দেখি সিট নেই। ভেতরেও কোন জায়গা নেই। পরে বারান্দায় মেঝেতে জায়গা পেয়েছি।’ নাজমুল নামে অপর এক রোগী বলেন, ‘নার্সরা সাধ্যমতো সেবা দিচ্ছেন। তবে, করিডোরে প্রচন্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছি। স্ট্যান্ড ফ্যানের সুবিধা থাকলে কিছুটা ভালো হতো।’ রাজাবাড়ী সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স আইনুর নাহার জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
খাদ্যে ব্যাকটেরিয়ার কারণেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মো. আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, খাবার আগে ও টয়লেটের পরে ভালোভাবে হাত ধোয়া ও পচা-বাসি খাবার থেকে বিরত থাকাই পারে ডায়রিয়া থেকে রেহাই দিতে। আমরা আমাদের সাধ্য মতো রোগীদের চিকিৎিসা দিয়ে যাচ্ছি। রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, ‘এখন প্রচন্ড গরম। আর এখন রমজান মাসও চলছে। তাই ইফতারের সময় খাবার গ্রহণে খুব সাবধান থাকতে হবে। এ সময় বেশি ভাজাপুড়া খাওয়া যাবে না। গরমে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। আর এই নষ্ট খাবার ডায়রিয়ার একটা কারণ হতে পারে। এই সময় প্রচুর পরিষ্কার পানি ও স্যালাইন খেতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।